ঈমান বিধ্বংসী বাতিল আকীদাঃ মেরাজের নব্বই হাজার কালাম।
হাফেজ মোঃ মিনহাজ উদ্দীন
-------------------------
মেরাজ রজনীতে রাসূলুল্লাহ সাঃ আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নব্বই হাজার কালাম ও বাণী লাভ করেছিলেন। তাম মধ্যে ত্রিশ হাজার কালাম যাহেরী, যেগুলো উলামায়ে কেরাম জানেন। আর অবশিষ্ট ষাট হাজার কালাম বাতেনী, যেগুলো রাসূল সাঃ গোপনে একমাত্র হযরত আলী রাঃ কে বলে গেছেন।
তাঁর নিকট থেকে সিনা পরস্পরায় পরবর্তী সুফী, ফকীর ও দরবেশদের নিকট গচ্ছিত। বাতেনী এই ষাট হাজার কালাম উলামায়ে কেরাম না-জানার কারণে তারা ফকীর-দরবেশদের মধ্যে একটা কিছু দেখলেই তাদের ওপর আপত্তি করে বসে।
এ কথা জাল ও ভিত্তিহীন। কেননা প্রথমত এতে আল্লাহ তায়ালার ব্যাপারে এই মিথ্যা ও ভ্রান্ত বিশ্বাস পোষণ করা হয় যে, তিনি মানুষকে দুপ্রকার শরীয়ত প্রদান করেছেন। একটি ত্রিশ হাজার কালামবিশিষ্ট শরীয়ত, আরেকটি ষাট হাজারবিশিষ্ট শরীয়ত এবং উভয় শরীয়ত পরস্পর বিরোধী। এক শরীয়তে একটি বস্তু হালাল হলে অন্য শরীয়তে সে একই বস্তু হারাম। এরূপ পরস্পর বিরোধপূর্ণ কাজ কোন সৃষ্টির পক্ষেও নিকৃষ্ট, অথচ এটাকে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার শানে চালিয়ে দিয়েছে এসব দাজ্জালরা।
দ্বিতীয়ত এখানে রাসূল সা: এর উপরও এই অপবাদ আসে যে, তিনি দ্বীনের অধিকাংশ মৌলিক কথা, যা সর্বস্তরের মুসলমানদের জানা জরুরি ছিল, তা তাদের কাছে পৌছাননি। একজনকে গোপনে বলে গেছেন আর অন্যদেরকে বলে গেছেন তার বিপরীত কথা। রাসূল সা: সম্পর্কে যে ব্যক্তির এরূপ দারনা থাকবে, তার যে রাসূল সা: এর প্রতি ঈমান নেই, তা তো বলাই বাহুল্য।
তৃতীয়ত রাসূল সা: হযরত আলী রা: কে দ্বীনের বিশেষ বিশেষ এমন অনেক কথা পৌছিয়েছেন, যা অন্যদেরকে পৌছাননি- এ আকীদা মূলত সাবাঈ চক্রের ছিল ( যাদের কাফের হওয়ার ব্যাপারে উম্মত একমত) সবাই চক্র এ আকীদা হযরত আলী রা: এর যুগেই রটিয়েছিল। আর হযরত আলী রা: সুষ্পষ্ট ভাষায় তা অস্বীকার করেছেন। এ সম্পর্কে একাধিক সহীহ রেওয়ায়েত রয়েছে। দেখুন একটি হাদিস- ‘ আমের ইবনে ওয়াসেলা বলেন, এক ব্যক্তি হযরত আলী রা: কে জিজ্ঞাসা করল, রাসূল সা: কি লোকের অগোচরে আপনাকে গোপনে কিছু বলে গেছেন? এ কথা শুনে ক্রোধে হযরত আলী রা: এর মুখমণ্ডল লাল হয়ে গেল। তিনি বলেন, রাসূল সা: লোকের অগোচরে আমাকে কিছু বলে যাননি। তবে আমাকে তিনি চারটি কথা বলে গেছেন, তখন আমরা ছিলাম ঘরের ভেতর। তিনি ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি তার পিতাকে লানত করে, আল্লাহ তায়ালা তাকে লানত করেন। যে ব্যক্তি গাইরুল্লাহ তথা আল্লাহ্ তায়ালা ছাড়া অন্য কারও নামে জবাই করে, আল্লাহ্ তায়ালা তার উপর লানত করেন। যে ব্যক্তি কো বিদআতিকে আশ্রয় দেয়, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর লানত করেন। যে ব্যক্তি যমীর চিহৃ ( সীমানা) এদিক-সেদিক করে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর লানত করেন। ( সুনানে নাসায়ী 2/183-184, হাদিস 4422
লেখক: www.facebook.com/hafej.minhaz.1