Translate

Massage for you

Allah is my lord

বুধবার, ১৫ জুন, ২০১৬

দারুল উলূম দেওবন্দ কখন কোথায় কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলঃ

 দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটঃ
 ( কিন্তি ১)

মানুষের রাহনুামায়ীর জন্য সর্বশেষ ঐশী দিক নির্দেশনা হিসাবে অবর্তর্ণ হয়েছিল আল-কুরআন। রাসূল্লাহ সাঃ এর জীবন ধারায় তারই রূপায়ণ হয়েছিল যথার্থভাবে। আর সে আলোকেই তিনি গড়ে তুলেছিলেন হযরত সাহাবায়ে কেরামের সুমহান জামা’আতকে। তিনি সুস্পষ্টভাবে ঘোষনা দিযে গেছেন যে, সত্য পন্থী, হক ও হক্কানিয়াতের অনুসারী, নাজাতপ্রাপ্ত জামা’আত হবে তারাই; যারা ঈমান ও আমল, ব্যক্তিক ও সামাজিক, দৈহিক ও আধ্যাত্মিক সকল ক্ষেত্রে “ মা’আনা আলাইহি ওয়া আসহাবী” অর্থাৎ আমি ও আমার সাহাবীরা যে পথে চলছে সেপথে নিজেদেরকে পরিচালিত করবে এবং সে পথকে দৃঢ়ভাবে গ্রহণ করবে। ইসলামে সে জামা’আতই পরিচিতি লাভ করেছে “ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত” নামে।
হযরত সাহাবাযে কিরামের যুগ থেকে অদ্যাবধি এক জামা’আত কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে “ মা আনা আলাইহি ওয়া আসহাবী”র পথকে অনুসরণ করে আসছে। এই মহান ধারার উত্তরাধিকারী আইম্মা, মুজাদ্দেদীন, ফুকাহা, মুহাদ্দেসীন ও সুলাহায়ে উম্মত অত্যন্ত বিশ্বস্ততার  সাথে নিরলস সাধনা, সীমাহীন ত্যাগ ও কুবানীর মাধ্যমে এই দ্বীনের হেফাজত ও ইশা’আত করে গিয়েছেন। সকল প্রতিকূলতার মুখেও হক ও হক্কানিয়াতের পতাকাকে সমুন্নত রাখার জন্য তারা জীবন বাজী রেখে সংগ্রাম করে গেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দ মূলতঃ সে ধারারই উত্তরাধিকারী।
ভারতে ইসলাম এসেছে দ্বিতীয় খলীফা হযরত ওমর রা: এর যুগেই। সেই থেকে নিয়েই “ মা আনা আলাইহি ওয়া আসহাবী”র কেতনধারী এক জামা’আতের নিরলস প্রচেষ্টায় হিন্দু প্রধান ভারতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথ সুগম হয়। মুসলিম শিক্ষা-সভ্যতা ও কৃষ্টি-কালচার এদেশের মানুষের নিজশ্ব সভ্যতা ও কৃষ্টি-কালচারে পরিণত হয়। এই সুদীর্ঘ পথে মুসলিম মনীষী ও উলামায়ে কিরামকে সমূহ প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে অনেক কণ্টকময় পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। মুকাবেলা করতে হয়েছে অনেকট জটিলতার। কখনো মনে হয়েছে যে, আর বুঝি সামলানো সম্ভব হবেনা। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর দ্বীনকে টিকিয়ে রাখার জন্য বারে বারেই তার নুসরতের দ্বার খুলে দিয়েছেন। রহমতের বারি সিঞ্চন করে সহজ করে তুলেছেন উম্মতে চলার পথ। 

মোগল সম্রাট আকবরের যুগে তার মূর্থতার সুযোগ নিয়ে হিন্দু ব্রাক্ষ্মণ্যবাদীরা যখন ক্ষমতা লোভী সম্রাটের ছত্রছায়ায় নিজেদের কুটিল চানক্য মূতিকে আড়াল করে হিন্দুয়ানী দর্শন উপাদানে গঠিত দ্বীনি ইলাহীর নামে নিঃশেষ করে দিতে চাইল ভারতীয় উপমহাদেশের ইসলাম ও মুসলিম উম্মাকে, তখন সেই ধারারই উত্তরাধিকারী এক মর্দে মু’মিন আল্লাহর উপর পরম ভরসা নিয়ে বলিষ্ঠ ঈমানী চেতনায় এগিয়ে এলেন এবং ছিন্ন করে দিলেন তাদের সব ষড়যন্ত্রের জাল। ইতিহাস তাঁকে মুজাদ্দিদে আলফেসানীহিসাবে চিনে।
অষ্টাদশ শতাব্দীতে ভোগবাদী বস্ততান্ত্রিক দর্শনের উপর ভিত্তি করে বাতিল যখন নিজেকে দাঁড় করাতে চাইল তখন এর মোকাবেলায় হযরত শাহ ওয়ালী উল্লাহ রাহ: নববী সুন্নাহর আলোকে ইসলামের সামাজিক, আর্থিক ও নৈতিক সকল বিধি বিধানকে বিশ্লেষণ করে পেশ করলেন ইসলামী জীবন বোধ ও আন্দোলনের এক নতুন রূপরেখা এবং নব্য বাতিলকে রোখার কার্যকরী কর্মসূচী। সেই চেতনায় সমৃদ্ধ ‘মা’ আনা আলাইহি ওয়া আসহাবী’-

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন