ভূমিকা: বাংলাদেশের অধিবাসীরা প্রধানত বহিরাগত এবং এদেশবাসীর
দৈহিক গড়নে নানা নরগোষ্ঠীর প্রভাব বিদ্যমান। সুপ্রাচীন কাল থেকে এ অঞ্চলে বিভিন্ন কারণে
বিভিন্ন তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর আগমন ঘটেছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর মিলন ও মিশ্রণের
মাধ্যমে বাঙালি জাতি গড়ে উঠেছে। স্যার হার্বাট রিজলি পণ্ডিত বিরাজশঙ্গর গুহ, রমাপ্রসাদ
চন্দ্র, নীহাররঞ্জন রায় প্রমুখ পণ্ডিতগণ মনে করেন বাঙালি একটি নতুন মিশ্র জাতি বা সংকর
জাতি। নিম্নে এ বিষয়ে আলোকপাত করা হল:
বাঙালি সংকর জাতি: বিভিন্ন জাতির মিলন ও সমন্বয়ে বাঙালি জাতি গড়ে উঠেছে। এর মূল
কাঠামো সৃষ্টির কাল প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে মুসলিম অধিকারের পুর্ব পর্যন্ত বিস্তৃত।
১. অনার্য-আর্য নরগোষ্ঠী: বাঙালি আদি মানব বা পুরুষের দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যথা:
১. অনার্য-আর্য নরগোষ্ঠী: বাঙালি আদি মানব বা পুরুষের দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যথা:
ক. প্রাক আর্য বা অনার্য নরগোষ্ঠী।
খ. আর্য নরগোষ্ঠী।
অনার্য নরগোষ্ঠী বাংলার আদি নরগোষ্ঠী, অনার্য নরগোষ্ঠীর উৎপত্তি হয় অম্বিক, দ্রাবিড়, আলপীয়, মোঙ্গলীয় এবং নেগ্রিটো ও আরো কয়েকটি জাতির মিশ্রণে।
2. নেগ্রিটো: বাঙালি জনগোষ্ঠীর প্রথম স্তর নেগ্রিটো জন। এরা খর্বাকৃতি, কালো বর্ণ চুল উনবিৎ, খাটো, বেটে পুরু ও উল্টানো।
৩. অস্টিক বা অস্ট্রায়েড: নৃবিজ্ঞানীদের মতে অস্টিক বা অস্ট্রালয়েড গোস্ঠী থেকে বাঙালি জাতির প্রধান অংশ গড়ে উঠেছে। নৃতাত্ত্বিক ভাষায় ভাষায় এর নাম অসস্ট্রালয়েড, অস্টিকাসের নিষাদও বলা হয়। বাঙালি জাতি সত্তার সর্বস্তরে কমবেশি এ ভেড্ডিদের রক্তের খোঁজ পাওয়া যায়। সাঁওতাল, মুণ্ডা, মালপাহাড়ি ইত্যাদি জাতি গোষ্ঠি অস্টেলীয়ডদের অন্তুর্ভুক্ত।
৪. আলপাইন: আলপাইন জাতি দ্রাবিড়দের পরে ভারতে প্রবেশ করে। বাঙালি গুজরাটি, মারাঠি, ওড়িশি জাতির পূর্বপুরুষদের অনেকেই আলপাইন গোষ্ঠীর লোক ছিল। এদের থেকে বাঙালি জাতির বড় একটি অংশ সৃষ্টি হয়।
৫. দ্রাবিড়: দ্রাবিড়রা এদেশের আদি অধিবাসীদের অন্যতম। পাঁচ হাজার বছর পূর্বে বাংলাদেশে দ্রাবিড়রা প্রবেশ করে।
৬. মঙ্গোলয়েড: বাঙালি জাতি সত্তার মিশ্রণে মঙ্গোলয়দের প্রভাব পাওয়া যায়। বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে এ জনগোষ্ঠীর প্রভাব বেশী পরিলক্ষিত হয়। গারো, চাকমা, মণিপুরি, খাসিয়া, মুরং ইত্যাদি উপজাতী এ মঙ্গোলয়েডের অন্তর্গত।
2. নেগ্রিটো: বাঙালি জনগোষ্ঠীর প্রথম স্তর নেগ্রিটো জন। এরা খর্বাকৃতি, কালো বর্ণ চুল উনবিৎ, খাটো, বেটে পুরু ও উল্টানো।
৩. অস্টিক বা অস্ট্রায়েড: নৃবিজ্ঞানীদের মতে অস্টিক বা অস্ট্রালয়েড গোস্ঠী থেকে বাঙালি জাতির প্রধান অংশ গড়ে উঠেছে। নৃতাত্ত্বিক ভাষায় ভাষায় এর নাম অসস্ট্রালয়েড, অস্টিকাসের নিষাদও বলা হয়। বাঙালি জাতি সত্তার সর্বস্তরে কমবেশি এ ভেড্ডিদের রক্তের খোঁজ পাওয়া যায়। সাঁওতাল, মুণ্ডা, মালপাহাড়ি ইত্যাদি জাতি গোষ্ঠি অস্টেলীয়ডদের অন্তুর্ভুক্ত।
৪. আলপাইন: আলপাইন জাতি দ্রাবিড়দের পরে ভারতে প্রবেশ করে। বাঙালি গুজরাটি, মারাঠি, ওড়িশি জাতির পূর্বপুরুষদের অনেকেই আলপাইন গোষ্ঠীর লোক ছিল। এদের থেকে বাঙালি জাতির বড় একটি অংশ সৃষ্টি হয়।
৫. দ্রাবিড়: দ্রাবিড়রা এদেশের আদি অধিবাসীদের অন্যতম। পাঁচ হাজার বছর পূর্বে বাংলাদেশে দ্রাবিড়রা প্রবেশ করে।
৬. মঙ্গোলয়েড: বাঙালি জাতি সত্তার মিশ্রণে মঙ্গোলয়দের প্রভাব পাওয়া যায়। বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে এ জনগোষ্ঠীর প্রভাব বেশী পরিলক্ষিত হয়। গারো, চাকমা, মণিপুরি, খাসিয়া, মুরং ইত্যাদি উপজাতী এ মঙ্গোলয়েডের অন্তর্গত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন