মোঃ মিনহাজ উদ্দীন

হজ্বে ক্ষেত্রে নারীর স্বতন্ত্র বিধানঃ
(১) হজ্ব ফরজ হওয়ার শর্তঃ হজ্ব ফরজ হওয়ার জন্য মুসলিম হওয়া, বালেগ হওয়া, জ্ঞানবান হওয়া, হজ্বকালীন পারিবারিক খরচ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সম্পদ ব্যতীত হজ্বের সফরের যাবতীয় খরচ পরিমাণ অর্থ-সম্পদ থাকা ইত্যাদি শর্তের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মাঝে কোন পার্থক্য নেই।
* তবে হজ্ব ফরজ হওয়ার জন্য নারীর ক্ষেত্রে কিছু অতিরিক্ত শর্ত রয়েছে। আর তা হলো যদি নারীর বাড়ী থেকে মক্কার দূরত্ব ৪৮ মাইল বা তার বেশী হয়, তবে নারীর উপর হজ্ব ফরজ হওয়ার জন্য তার সাথে স্বামী বা কো একজন মুহাররাম পুরুষ থাকা জরুরী। হাদিস শরীফে এসেছে, “ রাসূল সা: বলেন, মুহাররাম পুরুষ ছাড়া কোন মহিলা সফর করবে না। আর মুহাররাম পুরুষ সাথে না থাকলে সে মহিলার কাছে কেউ প্রবেশ করবে না। এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল সা: আমি অমুক যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছা করেছি, আর আমার স্ত্রী তো হজ্বে ইচ্ছা করেছে। রাসূল সা: তখন লোকটিকে বললেন, তুমিও তার সাথে হজ্বের জন্য বের হও”। ( বুখারী)
(২) ইহরাম বাঁধাঃ হজ্বের প্রথম ফরজ হলো ইহরাম বাধা। এটি নামাযের তাকবিরে তাহরিমার তুল্য। পুরুষের ইহরাম বাাঁধার সাধারণ নিয়ম হলো- প্রথমে পবিত্র হয়ে সেলাইবিহীন কাপড় পরতে হবে। তারপর দু’রাকাত নাময আদায় করে হজ্ব বা ওমরার নিয়ত করে তালবিয়া পড়তে হবে। ইহরামের জন্য পবিত্র হওয়া, নামায পড়া, নিয়ত করা ও তালবিয়া পড়ার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সমান।
* তবে নারী যদি ঋতুবতী হয়, তাহলে সে গোসল করবে; কিন্তু নামাজ পড়বে না। বরং শুধু নিয়ত করে তালবিয়া পড়ে নেবে।
*পুরুষের ইহরামের সাথে নারীর ইহরামের আরেকটি পার্থক্য হলো- পুরুষেরা সেলাই বিহীন কাপড় পড়বে, কিন্তু মহিলারা সেলাইযুক্ত কাপড় পড়ব। তথা তারা পর্দার জন্য প্রয়োজনীয় পোশাক যেমন- বোরকা নেকাব ইত্যাদি পড়বে। কারণ সেলাইবিহীন কাপড় দ্বারা তাদের পর্দা যথার্থভাবে রক্ষা করা সম্ভব নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন